ই-লানিং
তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষত সিডিরম, ভিডিও, টেলিভিশন, ভিডিও কনফারেন্সিং, ওয়েবসাইট, ইমেইল ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একে অপরথেকে দূরে থেকে যে শিক্ষা ব্যবস্থা তাই ই-লানিং।
ই-লানিং এ যে সকল মাধ্যম ব্যবহার করা হয়
১. স্ক্রিনকাস্ট
২. ই-পোর্টফলিও
৩. EPVSS(Electronic Performance Support System)
৪. পিডিএ
৫. এমপি থ্রি প্লেয়ার
৬. ওয়েবসাইট
৭. সিডিরম
৮. আলোচনা বdiscussion board
৯. ইমেইল
১০.ব্লগ
১১. উইকি
১২.চ্যাট
১৩.শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার
১৪. শিক্ষামূলক এনিমেশন
১৫. জরিপ বা ভোটিং
১৬. ভার্চুয়াল ক্লাসরুম
১৭. শিক্ষামূলক গেমস ইত্যাদি।
সুবিধা:
১. সবচেয়ে বড় সুবিধা এয কোন সময় যেকোন অবস্থনে বসে শিক্ষা লাভ করা যায়।
২. সুনির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার প্রয়োজন হয় না তাই যাতায়াত সহ অবকাঠামোগত খরচ অনেক কম।
৩. একই বিষয়ের উপর বিভিন্ন পদ্ধতি (ভিডিও,টেক্সট,চ্যাট) ও বিভিন্ন জনের টিউটরিয়ালের সুবিধা পাওয়া যায়।
অসুবিধা:
১. শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সরাসরি যোগাযোগ নাথাকায় অনেক প্রশ্নই উত্থাপন হয় না।
২. হাতে কলমের অনেক বিষয়ই ই-লানিং এর মাধম্যে শেখা সম্ভব না।
৩. তথ্য প্রযুক্তি ও শিক্ষন পদ্ধতি সম্পর্কে নিজেদের একটা ধারনা থাকতে হয়।
ই-লানিং এর সফটওয়্যার:
A Tutor
Bodington
Dokeos
DrupalED(Drupal Edition)
ILIAS
KEWL
Logicampus
LON-CAPA
LRN
Moodle
Sakai ইত্যাদি।
বাংলাদেশে ই-লানিং
ই-লানিং এর মৌলিক সুবিধা সহ এখনো তেমন কোন প্রতিষ্ঠানের নাম বলা যায়না । তবে বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন সম্প্রচারের মাধ্যমে এবং সরাসরি ক্লাস ও পরিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
কিছু প্রতাষ্ঠান দূরশীক্ষন এমবিএ কোর্স চালু করেছে। অনলাইনে ব্লগ সাইটগুলোতেও বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিষয় আলোচনায় সমৃদ্ধ হচ্ছে । আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে ইলানিং এর সকল সুবিধা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবির্ভাব হবে।